শিক্ষা
নাসরিন আকতার (সহকারী প্রধান শিক্ষক) ঃ জাতীয় জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব সর্বাধিক, সভ্যতার বিবর্তনের মধ্যে সে প্রবহমান ধারা আমরা লক্ষ্য করি, তাতে ক্রমাগতই মানুষের আত্নিক চেতনা প্রাধান্য পাচ্ছে। আজ তথ্য প্রযুক্তর জয় যাত্রার দিন। অতএব তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষা অপরিহার্য্য। শক্তি ও সম্পদ লাভের উপায় হিসেবে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তথ্য প্রযুক্তির বিদ্যার ্পাসক হতে হবে। শিক্ষা মনের দ্বারা খুলে দিলে অপরিচিতকে পরিচিত করায় , অজানাকে জানার রাজ্যে নিয়ে আসে। প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে শুদ্ধ বৃদ্ধি ও মুক্ত মনের অধিকারী করে। দোঁড়ামী ও কুসংস্কারের অকটোপাস থেকে মুক্তির বাতায়নে নিয়ে যায় শিক্ষা, শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্মার উজ্জ্বল্য সাধন, আর বর্তমান শিক্ষার ব্যবস্থা আমাদের আত্মার উজ্জ্বল্য সাধনে কতটুকু সাহায্য করেছে তা আবেগ পরিচালিত বুদ্ধির সাহায্যে নয়, বরং বুদ্ধি পরিচালিত আবেগ নিয়ে বিশ্লেষন করে দেখতে হবে।
শিক্ষা বলতে আমরা সাধারণত আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকেই বুঝি আনুষ্ঠানিক শিক্ষার দুই প্রধান উপাসন হল ছাত্র ও শিক্ষক। দুয়েরই বিচরণের ক্ষেত্র হলো শিক্ষাঙ্গন। উভয়েরই চার ভূমি আনুষ্ঠানিক শিক্ষালয় হলেও তার কেন্দ্র বিন্দু হলো শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রয়োজনেই এই বিপুল আয়োজন, এত বিরাট কর্মযজ্ঞ শিক্ষক সমাজের সাধারণ উপাধি হল মানুষ গড়ার কারিগর। কারিগরকখনো কোন কালে আপনা-আপনি সৃষ্টি হয়নি। নিজের চেষ্টা ও প্রনান্তকর সাধনার মাধ্যমেই একজন লোক কারিগর হিসেবে স্বীকৃতি ও খ্যাতি লাভ করতে হয় যে কারিগর যত বেশি দক্ষ হবেন, তার কর্মকুশলতা ও নৈপুণ্য ততই ফুটে উঠবে তার শৈল্পিক কর্মের মাধ্যমে । ইহাই স্বাভাবিক, সতিই বলতে কি শৈল্পিক গুণে সমৃদ্ধ পৃথিবীর সপ্ত আশ্চর্য ‘তাজ মহলের’ শৈল্পক মাধুর্য মানব মনেক দোলা জাগানোর সাথে সাথে স্মরণ ও করিয়ে দেয় তাতর নির্মাণ প্রকৌশলীকেও।
শিক্ষার্থীরা হল শিক্ষকের খেলার পুতুল? তবে এ পুতুল নিরেট এ নির্জীব নয়, এ পুতুল কিন্তু করিৎ কর্মী, আগামী দিনের ভবিষ্যত, দেশ ও জাতির আশ্বাস ও ভরসা। পুতুল যেমন বিনা বাক্য ব্যয়ে তার মনিবের ইচ্ছায় চলে, ছাত্ররাও তেমনি নিজেদের অজান্তে শিক্ষকদের অনুসরণ করে থাকে। এখন সে শিক্ষক যত পক্ষভাবে তার ছাত্রদের পরিচর্যা করতে পারবেন ততই ছাত্ররা সফলতার সাথে বঞ্চিত পরিবর্তনের মাধ্যমে সহজেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। নিজেদের অজান্তেই শিক্ষার্থী নামক পুতুলগুলোর বিরাট বোঝা কাঁধে তুলে গিয়েছে শিক্ষক সমাজ। আর আবহমান কাল হতে ধরেই নেওয়া হয়েছে যে, একমাত্র শিক্ষকেরাই পারেন জাতির ভবিষ্যত কর্ণদারদে সঠিক ও যোগ্যরূপে গড়ে তুলতে।
পরিশেষে বলা যায়, একজন শিক্ষকের জীবনে চিন্তা ও চেতনায়, ধ্যানে ও কর্মে অবশ্যই এক গুরুত্বপূর্ণ বৈপ্লাবিক পরিবর্তন আনবে যা শিক্ষার ময়দানে একজন শিক্ষকের চলার ‘পাথেয়’ ও ‘‘মাইল ষ্টোন’ হয়ে বিরাজ করব তাতে কোন সন্দেহ নেই।